ডিজিটাল বাংলা গড়ার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন থেকে গ্রামে গঞ্জে এবং মফস্বলেও পাওয়া যাবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা সরকারের তরফ থেকে, এমনটাই জানা গেছে রাজ্য সরকারের ঘোষিত নতুন প্রকল্প থেকে যেখানে শহরাঞ্চলের মত মফস্বল এবং গ্রামে-গঞ্জেও এখন ইউজ করা যাবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা। Free WiFi zone in West Bengal
যেহেতু রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্কিম যেমন খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী ও যুবশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে নাম তোলার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং সরকারি গ্রিইভান্স সেল সেখানেও অভিযোগ নথিভুক্ত করতে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। যেহেতু ইন্টারনেট পরিষেবা বর্তমান যুগে একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে সেজন্যই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ।
Table of Contents
কোথায় কোথায় এই ওয়াইফাই পরিষেবা পাওয়া যাবে ?
প্রাথমিকভাবে ডায়মন্ডহারবার এবং নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে এই পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ধীরে ধীরে এই Free WiFi zone in West Bengal .
কিভাবে ব্যবহার করা যাবে এই ওয়াইফাই পরিষেবা ?
যেসব অঞ্চলে এই ওয়াইফাই ডিভাইস গুলিকে ইনস্টল করা হবে সেই জায়গা থেকে ১৫০০ বর্গমিটার এলাকা পর্যন্ত এই ওয়াইফাই পরিষেবা উপভোগ করা যাবে ১০০ মিটার অন্তর একটা করে আউটপুট ডিভাইস বসালে ভালো ওয়াইফাই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের থেকে।
কোন সংস্থা এই ওয়াইফাই পরিষেবাটি আমাদের কাছে তুলে ধরবে ?
রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ওয়েবেল সংস্থাটিকে এর কার্যভার দেওয়া হয়েছে।
একসঙ্গে কতজন মানুষ এই পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন ?
প্রতিটি ওয়াইফাই জোন এ থাকছে চারটি এক্সেস পয়েন্ট। একসাথে যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে সর্বাধিক ৬০০ কি ডিভাইস থেকে একসাথে ব্যবহার করা যাবে এই ওয়াইফাই পরিষেবা। যদি গড়পড়তা একঘন্টা করে এই হাই স্পীড ইন্টারনেট কোন ব্যক্তি ইউজ করেন সেক্ষেত্রে সারা দিনে প্রায় ৬ হাজার মানুষ এই সুবিধা পেতে পারেন।
নিজের ফোনকে কিভাবে কানেক্ট করবেন এই ওয়াইফাই কানেকশন এর সাথে ?
বর্তমানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা যাত্রীরা পেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল থেকে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক টি সিলেক্ট করে আপনাকে লগইন করার অপশন ব্যবহার করতে হয়। মোবাইলে একটি ওটিপি আসে সেই ওটিপি টি আপনি পুট করলেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সাথে আপনার ফোনটি কানেক্ট হয়ে যায় এবার আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। Free WiFi zone in West Bengal
মাসিক ৫০০০ টাকা জমিয়ে পেয়ে যান ৩.৪৮ লক্ষ্য টাকা
কবে থেকে চালু হচ্ছে এই পরিষেবা ?
রাজ্য সরকার প্রথমে ডায়মন্ডহারবার এবং কৃষ্ণনগর কে পছন্দ করেছেন এই পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে। ওয়াইফাই পরিষেবার চালুর জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টেন্ডারও ডাকা হয়েছিল এবং দুই জায়গাতেই ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই চালুর জন্য। ডায়মন্ডহারবার শহরে মোট ১৩ টি পয়েন্ট প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে ১৪ টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে।
কি কি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত এই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় ?
নিজের ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর এবং আপনার এটিএম কার্ডের কোনরকম ইনফরমেশন এই পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় ব্যবহার করবেন না । Free WiFi zone in West Bengal অন্যান্য ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন এই পাবলিক ইন্টারনেট সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ইন্টারনেটের যে প্যাকেজ আপনি রিচার্জ করেছেন সেটা ব্যবহার হবে না , সে ক্ষেত্রে আপনারা বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আবেদন এবং অনলাইনে যে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছেন সেগুলো চালিয়ে যেতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন শহরাঞ্চলের মত যাতে মফস্বল এবং গ্রামাঞ্চলেও ইন্টারনেট পরিষেবা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারেন সেজন্যই তার এই উদ্যোগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে পড়াশোনা থেকে শুরু করে যেকোনো পরিষেবা যেগুলি অনলাইনেই আমাদের আবেদন করতে হয় তার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বাধ্যতামূলক সে ক্ষেত্রে যেহেতু শহরাঞ্চলের মত গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা সহজলভ্য নয় এবং ব্যয় সাপেক্ষও বটে তার কথা চিন্তা করেই মুখ্যমন্ত্রীএর সদর্থক পদক্ষেপ। যার ফলে উপকৃত হবেন গ্রামাঞ্চল এবং মফস্বলের সাধারণ মানুষ এবং অবশ্যই ছাত্রছাত্রীরা যারা এখন পড়াশোনা করছে অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে।